মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
মির্জাগঞ্জে গতকালও প্লাবিত ২৮টি গ্রাম

মির্জাগঞ্জে গতকালও প্লাবিত ২৮টি গ্রাম

মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ মির্জাগঞ্জে ‘ঘূর্ণিঝড় থেমে গেলেও ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্রতিদিন দুইবার প্লাবিত হচ্ছে তাঁর ঘরবাড়ি। এ ছাড়া পানিতে আশপাশের কাঁচা-পাকা সড়কগুলো সব সময় তিন-চার ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। নৌকা ছাড়া চলাচল করা সম্ভব হয় না। রামপুর বেড়িবাঁধের অরক্ষিত ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে শুক্রবার রামপুর, সন্তোষপুর, আরজিদুর্গাপুর ও কাঁঠালতলী গ্রামের সহস্রাধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। পানি নেমে না যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মাসুমা বেগমের মতো এসব এলাকার বাসিন্দারা। মধ্য রামপুর গ্রামের কিরণ সরকার বলেন, গত কয়েক দিনের জলোচ্ছ্বাসে এলাকার কাঁচা-পাকা ঘর ও সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে তছনছ হয়ে গেছে। মধ্যরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কাজিরখালের গোড়া পর্যন্ত অন্তত ১০ স্থানে সড়ক ভেঙে শ্রীমন্ত নদের পানি প্রবেশ করছে। রামপুর বেড়িবাঁধের অরক্ষিত ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে শুক্রবার রামপুর, সন্তোষপুর, আরজিদুর্গাপুর ও কাঁঠালতলী গ্রামের সহস্রাধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এদিকে মির্জাগঞ্জ, দেউলী সুবিদখালী, কাঁকড়াবুনিয়া ও মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পায়রা ও শ্রীমন্ত নদের জোয়ারের পানি প্রবেশ করে তিন দিন ধরে প্লাবিত হচ্ছে চর ছৈলাবুনিয়া, কলাগাছিয়া, সুন্দ্রা কালিকাপুর, পিঁপড়াখালী, মহিষাকাটার ঘোপের বাড়ি, কপালভেড়া, দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ, চরকান্দা, চরখালী মেহেন্দীয়াবাদ, কুদবারচরসহ ২৮টি গ্রাম। তবে গত দুই দিনের তুলনায় পানির চাপ অনেকটাই কম জানান সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে রামপুর, সন্তোষপুর, কাঁঠালতলী, কিসমত রামপুর, আরজি দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দারা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। পাউবো পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালেহ আহম্মেদ বলেন, পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে আজও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পায়রা নদের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গত দুই দিনের তুলনায় কম। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর অরক্ষিত সাড়ে ৪০০ ফুট বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বেড়িবাঁধ বারবার নদীতে চলে যাওয়ায় নতুন স্থান নির্ধারণে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করে খুব শিগগিরই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে অনেক গ্রাম আজও প্লাবিত হয়েছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যায় দুর্গত ৯০০ পরিবারকে ইতিমধ্যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com